কুমিল্লার চান্দিনায় নাটিঙ্গী গ্রামের মৃত ফজর আলী প্রধানের ছেলে ইব্রাহিম মাহমুদ দুলাল এর সৎ
ভাই বোনেরা বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, ফজর আলী প্রধান এর জীবন দশায় তিনি তিন বিয়ে করেন, তার যথাক্রমে চার ছেলে
ও তিন মেয়ে রেখে যান। তার মধ্যে তার ৩য় স্ত্রী ফিরোজার একমাত্র সন্তান ইব্রাহিম মাহমুদ দুলাল। ফজর আলী প্রধানের মৃত্যুর পর তার ১ম দুই স্ত্রীর ছেলে-মেয়েরা ৩য় স্ত্রী ও তার সন্তানকে জোর পূর্বক বাড়ী থেকে বের করে দেয়। বাবা ফজর আলীর মৃত্যুর দীর্ঘ দিন পর সৎ ভাই বোনেরা এক সময় জানান দেয় যে, তাদের বাবা তার দুই স্ত্রী সহ তাদের সন্তানদের সকল সম্পত্তি ওসিয়ত (উইল) দলিল করে গেছেন। তার ৩য় স্ত্রী ওসন্তানকে কোন সম্পত্তি দেন নাই। ওসিয়ত দলিল মর্মে তারা গত ১৭ই নভেম্বর ২০১১ সালে ভূমি অফিসে নামজারী মামলা নং ৩৫৫ এর
মাধ্যমে পৈত্রিক ওয়ারিশ হিসেবে নামজারী করেন। এই নামজারীতে ইব্রাহিম মাহমুদ আপত্তি জানান । কিন্তু এলাকায় তিনি সহজ সরল হওয়ায় তার আপত্তি গ্রহনযোগ হয় নাই। পরবর্তীতে এই জমি স্থানীয় এলাকার কিছু আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা তার সৎ ভাইদের কাছ থেকেপর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জমির বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে জমিগুলো ক্রয়-বিক্রয় করে এবং
অবৈধভাবে ভূমি অফিস থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারী করে নেন। এলাকাবাসীর
সূত্রে জানা যায়, দোল্লাই নবাবপুরের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান যিনি বিগত দিনে বিএনপির নেতা দাবী করলেও বিগত আওয়ামী সরকারের সময় আওয়ামীলীগে যোগদান করে একটি ভূমিদস্যু বাহিনী তৈরী করেন মোঃ শাহজাহান মিয়া। এলাকায় তিনি ভূমিদস্যু শাহজাহান হিসেবে পরিচিত। তিনি ভূমিদস্যুতা
করে অবৈধভাবে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। তিনি ও তার ভূমিদস্যু বাহিনী
ভোক্তভোগী ইব্রাহীম মাহমুদ দুলাল এর প্রাপ্য পৈত্রিক সম্পত্তি তার সৎ ভাইদের থেকে
নূন্যতম মূল্যে ক্রয় করেন এবং অবৈধভাবে নামজারী করার চেষ্টা করেন। ভোক্তভোগী উপায়
অন্ত না পেয়ে ২০২০ সালে কুমিল্লা জেলা জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার
বিষয়ে ভূমি অফিসকে অবহিত করলে ২৬ জানুয়ারী ২০২১ সালে নামজারী মামলা নং ২৪১৫ বাতিল
করেন সহকারী কমিশনার নাইমা ইসলাম। কিন্তু পরবর্তীতে নতুন সহকারী কমিশনার রাকিবুল
ইসলাম যোগদানের পর ১৫ই জুলাই ২০২১ সালে নামজারী মামলা নং ৪৯৫৯ গোপনে ভূমি দস্যু
মোঃ শাহজাহান মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে আবারো আবেদন জানান। দোল্লাই নবাবপুর
ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তফশীলদার মোঃ আবুল হোসেন উক্ত বিষয়ে মামলা চলমান থাকার
বিষয়টি জানা সত্ত্বেও তিনি এসি ল্যান্ডকে নামজারী করার সুপারিশ করেন। এই বিষয়
ভোক্তভোগী বিষয়টি টের পেয়ে আবারো আপত্তি জানান। কিন্তু তার আপত্তিতে কোন গুরুত্ব
না দিয়ে একই ভূমি অফিস থেকে বাতিল করা নামজারীর আবেদন নতুন করে নামজারী প্রদান করা
হয়। এই বিষয়ে চান্দিনার সহকারী কমিশনার সৌম্য চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে
তিনি জানান কোন ব্যাক্তি যদি তার জীবন দশায় তার সম্পত্তি ওসিয়ত (উইল) করতে চান,
আইন অনুযায়ী তিনি তিন ভাগের দুই ভাগ করতে পারেন। অন্যথায় বিষয়টি বৈধতা পায় না। তার
মৃত্যুর পর তার সকল ওয়ারিশ জজ কোর্টের মাধ্যমে প্রবেট মাধ্যমে সম্পত্তি বন্টন বা
নামজরী করতে হয়। ভূমি অফিস থেকে নামজারীর আবেদন বাতিল ও পরবর্তীতে আবার নামজারী
প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি হয়তবা ভূল বসত হয়ে গেছে। যদি এমটা
হয়ে থাকে তাহলে ভোক্তভুগী আমাদের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর মামলা করতে
পারেন। এইদিকে ভোক্তভোগী ইব্রাহীম মাহমুদ দুলাল পিতার ওয়ারিশ হিসেবে তার প্রাপ্ত
সকল সম্পত্তি বুঝে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে অভিযুক্ত মোঃ
শাহজাহান মিয়া (চেয়ারম্যান) কে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়
নাই।
https://slotbet.online/